সেরা আবৃত্তি শিল্পী হিসাবে টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত রয়া চৌধুরী

টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডস এর ২১ আসর বসে গত ৯ জুন কলকাতার বিখ্যাত নজরুল মঞ্চে। পশ্চিমবঙ্গের টেলিসিনে সোসাইটি বাংলা বিনোদন জগতের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, গান ও আবৃত্তির নানান শাখার শ্রেষ্ঠদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়। সন্ধ্যার অন্যতম হাইলাইট মধ্যে ছিল রয়া চৌধুরীর সম্মাননা। তিনি তার একক অ্যালবাম “বেদনাদূতী ” এর জন্য সেরা আবৃত্তি শিল্পী (নারী)পুরস্কার জিতে নেন।
তার পুরষ্কারগ্রহন বক্তব্যে বলেন , আমি ভীষণ আনন্দিত। “এই স্বীকৃতির জন্য টেলি সিনে পুরস্কারের সম্মানিত জুরি সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ ভারতের ঐতিহাসিক রেকর্ড কম্পানি হিন্দুস্তান রেকর্ডস এর কাছে, আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য। আমার কৃতজ্ঞতা ভক্ত এবং শ্রোতাদের কাছে, তাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমায় আজ রয়া চৌধুরী বানিয়েছে।
অনুষ্ঠানটি একটি তারার মেলা ছিল, যেখানে বাংলা চলচ্চিত্রের আলোকিত ব্যক্তিরা যেমন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, মুনমুন সেন, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়, গৌতম ঘোষ, কৌশিক গাঙ্গুলি, আবীর চ্যাটার্জি, অঙ্কুশ হাজরা, চূর্ণী গাঙ্গুলি এবং ইমন চক্রবর্তীর মত শিল্পীরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে পুরষ্কার গ্রহন করে।
উল্লেখ্য এই, সন্ধ্যায় বাংলাদেশের বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী সামিউল ইসলাম পোলাক সেরা আবৃত্তি শিল্পী (পুরুষ) পুরস্কার জিতেছে নেন, এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়ক স্বপ্নীল সজীব শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন।
আবৃত্তিশিল্পী রয়া চৌধুরী অভিবাসী বাংলাদেশী আবৃত্তিশিল্পী। তিনি যুক্তরাজ্যের বিভিন্নমঞ্চে সুদীর্ঘকাল বাংলা কবিতা আবৃত্তি, প্রচার, প্রসার ও চর্চা করেছেন। বাংলাদেশে তার কবিতায় রঙ্গপ্রবেশ হয় ২০২১ সালে , দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী সামিউল ইসলাম পোলাকের হাতধরে। তার একক আবৃত্তির এলবাম রবীন্দ্রকবিতার সংকলন বেদনাদূতী প্রকাশ পায়, ভারতের ঐতিহাসিক রেকর্ড কম্পানি হিন্দুস্থান রেকর্ডস থেকে। বাংলা ধ্রুপদী কবিতা আবৃত্তির সাথে সাথে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতায় পারদর্শী। আবৃত্তি করতে পারেন ইংরেজি , উর্দু, হিন্দি, জাপানি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায়। ইতিমধ্যে জয় করেছেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেম এওয়ার্ড (বাইফা), বাংলাদেশ এচিভার্স এওয়ার্ড , চারিদিকে সেল্ফ রিলায়েন্টস এওয়ার্ড।