বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ ওয়েন পার্নেল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
হাশিম আমলা কিংবা ইমরান তাহিরদের প্রভাবে নয়, নিজের গবেষণা ও ভালোলাগা থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ওয়েন পার্নেল। ইসলামের সুমহান আদর্শ, সরলতা ও ভাতৃত্ববোধে হয়েছিলেন আকৃষ্ট। বিপিএল খেলতে এসে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আতিথেয়তা মুগ্ধ করেছে প্রোটিয়া এই ক্রিকেটারকে।
ধর্ম একই সঙ্গে সার্বজনীন আবার ব্যক্তিগতও। তবে ওয়েন পার্নেল যেভাবে ইসলামকে ধারণ করেছেন তা হতে পারে অনেকের জন্যই আদর্শ। যেখানে কোনো রাখঢাকও নেই এ দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের।
২০১১ সালের শুরুতে খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন পার্নেল। ধর্মান্তরিত নাম ওয়ালিদ হলেও আগের নাম মুছে ফেলতে চাননি। পোর্ট এলিজাবেথে জন্ম নেয়া এ ক্রিকেটার কেন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মাত্র দেড় বছরের মধ্যে ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন সেই প্রশ্ন অনেকেরই।
ওয়েন পার্নেল বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে ইসলামের সৌন্দর্য হচ্ছে, সরলতা, ভ্রাতৃত্ববোধ। যা আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। ইসলাম শুধু একটা ধর্ম নয় তার চেয়ে বেশি। আমি ভাগ্যবান যে এ ধর্ম গ্রহণ করতে পেরেছি। বিশ্বের যেখানেই যাই, বহু মানুষের সম্মান পাই। আলহামদুলিল্লাহ সবাই আমাকে স্বাগত জানিয়েছে
দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা এবং ইমরান তাহিরও মুসলিম। অনেকেই মনে করেন দুই সতীর্থের প্রভাব আছে পার্নেলের ধর্ম পরিবর্তনে।
আসলেই কি তাই? পার্নেল বলেন, আমি যখন জাতীয় দলে সুযোগ পাই তখন হাশিম ভাই প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার। ইমরান ভাইও ছিলেন। কিন্তু তারা কিছুই জানতেন না। ইসলাম গ্রহণ করার কিছুদিন পর তাদের জানিয়েছিলাম। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তাদেরকে প্রায়ই এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আসলে ঘটনা অন্যরকম।
প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দিয়ে ২০০৮ যুব বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন বয়সভিত্তিক দল থেকেই। পরের বছর জাতীয় দলে অভিষেক। লম্বা ক্যারিয়ারটা প্রত্যাশিতভাবে বড় হয়নি বারবার ইনজুরি আর ধারাবাহিকতার অভাবে।
বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ ওয়েন পার্নেল। সুযোগ পেলেই চেষ্টা করেন তরুণদের পরামর্শ দেয়ার।