নোয়াখালী ১ আসনে বিদেশি নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে নির্বাচন করছেন খন্দকার রুহুল আমিন হাইকোর্ট ও নির্বাচন কমিশনে তদন্তাধীন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তথা বিদেশি নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন নম্বর-২৬৮ নোয়াখালী-০১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে খন্দকার রুহুল আমিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগটি করেন- মো. শফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। যার বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দশঘরিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম- জালাল আহম্মদ শেখ। নির্বাচন কমিশনে গত ১৯ ডিসেম্বর আবেদন করেন। অভিযুক্ত খন্দকার রুহুল আমিনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার জিরাপুর গ্রামে। তার পিতার নাম- মৃত হাজী নুরুজ্জামান মিয়া।
উক্ত আবেদন রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্যা পিউপিল অর্ডার, ১৯৭২ এর আর্টিকেল ৯১ই এর বিধান অনুযায়ী তদন্তপূর্বক নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে মোঃ শফিকুর রহমান পিটিশনার হয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং-১৬৬৯২/২০২৩ দায়ের করেন। হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত রিট পিটিশনে বর্ণিত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আর আমিন এর দ্বৈত নাগরিকত্ব (যুক্তরাষ্ট্র) সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের পূর্বে হাইকোর্ট বিভাগে দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন এর দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত এর শুনানি কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশন। গতকাল শুক্রবার ১৭,০০,০০০০,০৪৬.৬৩,০৭২.২৩.২৩০ স্মারকে সিনিয়র সহকারী সচিব (আইন-৩) এর তদন্তকারী কর্মকর্তা বিপ্লব দেব নাথ এ নির্দেশ দেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১৬৬১২/২০২৩ এর প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদনের প্রয়োজনে অভিযোগকারী মোঃ শফিকুর রহমান এবং অভিযুক্ত খন্দকার রুহুল আমিন এর সাক্ষ্যগ্রহণ আবশ্যক। এর প্রেক্ষিতে আজ ২৩ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কক্ষ নং-৫১৪ এ অনুষ্ঠিত তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণসহ উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করে খন্দকার রুহুল আমিন গত ২৮ মার্চ সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন তিনি। এদিকে ইমিগ্রেশন রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।